1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১০টি দেশে ৭৫ শতাংশ টিকা : ডাব্লিউএইচও

৯ জুন ২০২১

ডয়চে ভেলেকে পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে, বিশ্বে এখন পর্যন্ত যত টিকা সরবরাহ করা হয়েছে তার ৭৫ শতাংশই পেয়েছে মাত্র ১০টি দেশ৷ কম জিডিপির দেশগুলো পেয়েছে এক শতাংশেরও কম টিকা৷

https://p.dw.com/p/3udDw
Ukraine | Coronavirus | Impzentrum in Odessa
ছবি: Konstantin Sazonchik/TASS/dpa/picture alliance

টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে এমন অসম অবস্থা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, মন্তব্য করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঐ বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এটা মহামারি থেকে মুক্তির দুটি ভিন্ন পথের কথাই সামনে নিয়ে আসে৷’’

সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্যদের উদ্যোগে কোভ্যাক্স কর্মসূচি চালু করা হয়৷ এর আওতায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের দেশগুলোতে টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে৷ তবে সংখ্যাটা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম৷ কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা পেয়েছে৷

জার্মানিতে প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যে অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন৷ অথচ এমন অনেক দেশ আছে যেখানে টিকা কার্যক্রম কেবল শুরু হচ্ছে৷ তাঞ্জানিয়া, চাডের মতো দেশে এখনও টিকা দেয়া শুরু হয়নি৷

কোভ্যাক্সের জন্য টিকা কিনতে দাতা দেশগুলোর কাছ থেকে সহায়তা চাওয়া হচ্ছে৷ এ লক্ষ্যে গত সপ্তাহে অনলাইনে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়৷ সম্মেলনে ১৯ হাজার ৬৩০ কোটি টাকার অঙ্গীকার পাওয়া গেছে৷ ফলে কোভ্যাক্সের আওতায় এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে৷

তবে বিভিন্ন দেশ কোভ্যাক্সে টাকা না দিয়ে কৌশলগত স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সরাসরি বন্ধু দেশকে টিকা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষুধা নিবারণে কাজ করা সংস্থা ব্রেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তা মারাইকে হাসে৷ ‘‘আমরা মনে করি, টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমতা আনতে হলে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা বিতরণ করতে হবে,’’ ডয়চে ভেলেকে বলেন তিনি৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি ল্যাটিন অ্যামেরিকা, ক্যারিবিয়ান, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আট কোটি ডোজ টিকা দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন৷ এর তিন-চতুর্থাংশ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে দেয়া হবে৷ বাকিটা সরাসরি বিভিন্ন দেশকে দেয়া হবে৷

মারাইকে হাসে বলছেন, কোভ্যাক্স কর্মসূচির একটি অন্যতম সমস্যা হচ্ছে এটি ঐচ্ছিক ভিত্তিতে কাজ করে৷ এছাড়া পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় কোভ্যাক্স প্রয়োজনীয় টিকাও কিনতে পারছেনা৷ ‘‘টিকা কোম্পানিগুলো কোভ্যাক্সের সঙ্গে কাজ করার চেয়ে যারা বেশি দাম দিতে পারবে তাদের সঙ্গে কাজ করতে বেশি আগ্রহী,’’ বলে মনে করেন তিনি৷

কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি ডো়জ টিকার অঙ্গীকার পাওয়া গেছে, যদিও সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৫ কোটি ডো়জ টিকার প্রয়োজন৷ আর এ বছরের মধ্যে ১০০ কোটি টিকা পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে৷

স্টেফানি হ্যোপনার/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য