1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বিজিবির প্রতিবাদ

১০ জুলাই ২০২০

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকার একটি প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি৷ এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীটি৷

https://p.dw.com/p/3f80T
Bangladesch Symbolbild Rohingya-Flüchtlingslager in Cox's Bazar
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A.M. Ahad

‘অরক্ষিত জমিতে পা পড়ছে বাংলাদেশির' এমন শিরোনামে গত শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আনন্দবাজার পত্রিকা৷

প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল,মুর্শিদাবাদের ডোমকল মহকুমার সীমান্তে রানিনগর ১ এবং ২ নং ব্লক ও জলঙ্গি জুড়ে ভারতের প্রায় ২২ হাজার একর জমি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে৷ বাংলাদেশ সীমান্তের গ্রামবাসীরা এই জমি তাদের বলে দাবি করছে৷

তবে বিজিবিবিবৃতিতে বলেছে, ‘‘বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারতের অভ্যন্তরে গিয়ে চাষাবাদ করা তো দূরের কথা, আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর চাষাবাদ করাই অসম্ভব একটি ব্যাপার।'' সেখানে প্রতিনিয়ত শূন্যরেখা বরাবর বিজিবি সদস্যরা রাত দিন টহল দিয়ে সীমান্ত রক্ষা করছে।

আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে আরো লিখেছে, ‘‘দিন কয়েক আগে দু'জন বাংলাদেশি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয়এলাকায় চলে আসায় তাদের আটক করেছিল বিএসএফ। ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মুক্তিপণ হিসেবে রানিনগর সীমান্তের গ্রাম থেকে দুই গ্রামবাসীকে তুলে নিয়ে যায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা।''

এর প্রতিবাদে বিজিবিবলছে, ‘গত ২ জুলাই জলঙ্গি সীমান্তে দুটি ঘটনা ঘটে, যা পত্রিকার মূল বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত৷'' মূলত ২ জুলাই জলঙ্গি সীমান্তে দুটি ঘটনা ঘটে৷ নয়ন শেখ ও শহিদুল শেখ নামের দুই ব্যক্তি জলঙ্গি সীমান্ত দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে৷ তারা বাংলাদেশে স্থানীয় লোকজনের ওপর চড়াও হয়৷ পরে স্থানীয়রা তাদেরকে ঘেরাও করে৷ পরবর্তীতে সেখানকার বিজিবি ক্যাম্প খবর পেয়ে ভারতীয় দুজনকে তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয়৷ একই দিন দুপুরে বিএসএফ টহল দল অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে ৩০০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ইউসুফপুর এলাকা থেকে তিন জন কৃষককে ধরে নিয়ে যায় বলেও উল্লেখ করেছে বিএসএফ৷

এই দুই ঘটনা নিয়ে একই দিনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক করেছে৷ ৩ জুলাই শান্তিপূর্ণভাবে উভয় দেশের নাগরিক হস্তান্তর ও গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিজিবি৷

এফএস/এসিবি (ঢাকা ট্রিবিউন, প্রথম আলো, আনন্দবাজার পত্রিকা)