1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে আংশিক ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু

১৫ জানুয়ারি ২০২০

৫ মাস পরে ফের ইন্টারনেটের আংশিক ব্যবহার শুরু হচ্ছে কাশ্মীরে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন পুরোটাই লোক দেখানো।

https://p.dw.com/p/3WDgv
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Khan

কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকা নিয়ে সোমবারই সরকারের সমালোচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বলেছিল, ইন্টারনেট পরিষেবা লোকের মৌলিক অধিকার৷ বুধবার থেকে সেখানে ইন্টারনেট ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করল সরকার। তবে এখনই সকলে ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন না। কেবলমাত্র বাছাই করা কিছু জায়গাতেই ইন্টারনেটের আংশিক সুবিধা পাওয়া যাবে।

প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে পরীক্ষামূলক ভাবে কিছু জায়গায় ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ডের সুবিধা দেওয়া হবে। মূলত কিছু সরকারি সংস্থা এবং জরুরি পরিষেবার সংস্থা এই সুযোগ পাবে। তবে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করার কোনও সম্ভাবনাই আপাতত নেই। প্রশাসন জানিয়েছে, যে সংস্থাগুলিকে আংশিক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া হবে, তাদের একজন করে নোডাল অফিসার রাখতে হবে। যাদের কাজ হবে, ইন্টারনেটের অপব্যাবহার হচ্ছে কি না, তা দেখা। শ্রীনগরের পরে উত্তর কাশ্মীরে ইন্টারনেট ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। সব শেষে ইন্টারনেট দেওয়া হবে দক্ষিণ কাশ্মীরকে। আংশিক এই পরিষেবা চালু করার পর দেখা হবে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে কি না। যদি না হয়, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ভাবা হবে।

সরকারের এই পদক্ষেপে অবশ্য খুশি নন কাশ্মীরবাসী। তাঁদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট খুব স্পষ্ট করেই বলেছে যে, ইন্টারনেট পরিষেবা মানুষের অধিকার। ৫ মাস ধরে সেই অধিকার থেকে কাশ্মীরবাসী বঞ্চিত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট বলা সত্ত্বেও সরকার যে ভাবে ইন্টারনেট ফেরানোর ব্যবস্থা করছে, তা লোক দেখানো। এতে কারও কোনও সুবিধা হবে না। বস্তুত যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করেছে সরকার, তা টু জি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই স্পিডের ইন্টারনেটে হাসপাতালের কোনও মেশিন আপডেট নিতে পারবে না। ফলে সেগুলি অকেজো হয়েই পড়ে থাকবে। শুধু তাই নয়, যে ভাবে ইন্টারনেটে নজরদারি চালানোর কথা সরকার বলছে, সেটাও কোনও গণতান্ত্রিক সভ্য দেশে হতে পারে না বলেই তাঁদের অভিমত। সোশ্যাল নেটওয়ার্কও আপাতত চালু হচ্ছে না উপত্যকায়।

প্রাক্তন প্রশাসনিক আমলা এবং পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞ অমিতাভ রায়ের মতে, ''সরকারের এই পদক্ষেপ একেবারেই লোক দেখানো। এর ফলে কাশ্মীরের কোনও সুবিধা হবে বলে মনে হয় না। যে ভাবে ইন্টারনেট দেওয়া হচ্ছে, তা না দেওয়ারই সামিল।''

গত সোমবারই কাশ্মীর সংক্রান্ত এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ভর্ৎসনা করেছিল সরকারকে। বিচারপতি বলেছিলেন, ইন্টারনেট পরিষেবা মানুষের অধিকার। কাশ্মীরে যে ভাবে তা খর্ব হয়েছে, তা ঠিক নয়। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে এ বিষয়ে রিপোর্টও দিতে বলা হয়েছিল। প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, যা বলার তারা তা আদালতকেই বলবে। তারই মধ্যে সরকারের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।