ছাইমেঘ নিয়ে ইউরোপের আকাশে আবার অনিশ্চয়তা
২৪ মে ২০১১গ্রিমভোটন থেকে নির্গত ছাইমেঘের উচ্চতা কিছুটা কমেছে৷ আইসল্যান্ডের আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী রবিবার যাবৎ ছাইমেঘের উচ্চতা মাত্র ৫ থেকে ৯ কিলোমিটার, যদিও আগ্নেয়গিরিটি আগের মতোই সক্রিয়৷ এছাড়া এবারকার ছাই নাকি ২০১০ সালের তুলনায় বেশি দানাবাঁধা অথবা ভারী৷ তাই তা আগেই মাটিতে পড়ে যাবার সম্ভাবনা বেশি৷ কেননা ছাই যতো মিহি এবং হাল্কা হবে, ততোই তা আরো ওপরে উঠবে এবং আরো বেশিদূর ভেসে যাবে৷
২০১০ সালে আইসল্যান্ডের আরেকটি আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত ছাইমেঘ ইউরোপে বিমানচলাচলে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছিল৷ এক লক্ষ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছিল৷ এক কোটি বিমানযাত্রী আটকে পড়েছিলেন৷ বিমান পরিবহণ শিল্পের ক্ষতি হয়েছিল ১৭০ কোটি ডলার৷ এবার ২০১০ সালের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷ তবে ব্রিটিশ আবহাওয়া অফিস বলছে, মঙ্গলবার ভোরের মধ্যেই আইরিশ রিপাবলিক, উত্তর আয়ারল্যান্ড. স্কটল্যান্ড এবং আংশিক উত্তর ইংল্যান্ডের আকাশ ছাইমেঘে ঢেকে যাবে৷ সেই আশঙ্কাতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একদিন আগেই, অর্থাৎ সোমবার রাত্রেই লন্ডন পৌঁছেছেন তাঁর রাষ্ট্রীয় সফরে৷
মোটামুটি মঙ্গলবারের জন্য যে সব ফ্লাইট বাতিলের কথা এ' পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছে, তার সবই হল ঐ ছাইমেঘের সম্ভাব্য গন্তব্যের হিসেব করে৷ বাকি ইউরোপ সতর্ক হয়ে বসে আছে৷ ইউরোপের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংগঠন বলছে, আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই বেরনো এই হারে চলতে থাকলে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাইমেঘ পশ্চিম ফ্রান্স এবং উত্তর স্পেনের আকাশে পৌঁছতে পারে৷
২০১০ সালে তো মূল সমস্যা ছিল, ছাইমেঘের ভিতর দিয়ে জেটবিমানের ওড়া কতোটা নিরাপদ কিংবা নিরাপদ নয়, তাই নিয়ে৷ তাই আগেভাগেই সব ফ্লাইট নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ এবার সেই ভুলটাই যা'তে না হয়, সেটাই হবে সবার প্রচেষ্টা৷ জার্মান পরিবহণ মন্ত্রী পেটার রামজাওয়ার বলেছেন, প্রতি ঘনমিটারে দুই মিলিগ্রাম ছাই থাকলে, তবেই ফ্লাইট নিষেধ করা হবে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা