1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বেনগাজি সফর

১৩ জুন ২০১১

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে আর উন্নয়নমন্ত্রী ডির্ক নিবেল একটি অঘোষিত সফরে বেনগাজি গিয়েছেন সোমবার৷ লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের মূল ঘাঁটিতে জার্মান সরকারের কোনো প্রতিনিধির এই প্রথম পা পড়ল৷

https://p.dw.com/p/11ZU6
Westerwelle
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলেছবি: dapd

লিবিয়ায় যা ঘটছে, তার ক্ষেত্রে জার্মানির ভূমিকা এযাবৎ কিছুটা দ্ব্যর্থক ছিল এবং আছে৷ জার্মানিই একমাত্র পশ্চিমা দেশ, যা গত মার্চে বিশ্ব নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের সময় লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের সপক্ষে ভোট দেয়নি, বরং ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে৷ এছাড়া বিদ্রোহীদের ক্রান্তি পরিষদকেও জার্মানি এযাবৎ স্বীকৃতি দেয়নি, যদিও কাতারের পর এবার আমিরশাহীও আরব দেশ হিসেবে বিদ্রোহীদের স্বীকৃতি দিয়েছে৷

কিন্তু মে মাসের শেষ থেকেই বেনগাজিতে জার্মানির একটি সংযোগ দপ্তর আছে৷ সোমবার সেটারই সরকারিভাবে উদ্বোধন করলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ এবং আগামীতে বার্লিনে বিদ্রোহীদের একটি অনুরূপ দপ্তর খোলা হবে বলেও শোনা যাচ্ছে৷

Guido Westerwelle
লিবিয়ায় যা ঘটছে, তার ক্ষেত্রে জার্মানির ভূমিকা এযাবৎ কিছুটা দ্ব্যর্থক ছিল এবং আছেছবি: picture-alliance/dpa

এছাড়া জার্মানির সদিচ্ছার অনেক নিদর্শনই ভেস্টারভেলে সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন৷ যেমন বেনগাজি, মিসরাতার হাসপাতালগুলোর জন্য ওষুধপত্র৷ আবার সব মিলিয়ে প্রায় ৮০ লক্ষ ইউরোর সাহায্যের প্রতিশ্রুতি৷

কিন্তু বিদ্রোহীদের ক্রান্তি পরিষদকে স্বীকৃতি দেবার ক্ষেত্রে পরিষদের উপসভাপতি হাফিজ ঘোগা রয়টার্সকে বলেছেন, ভেস্টারভেলে নাকি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে ক্রান্তি পরিষদকে জনসাধারণের বৈধ প্রতিনিধি বলে অভিহিত করেছেন৷ তবে এখানে ‘অভিহিতের' অর্থ স্বীকৃতি কিনা, তা নিশ্চিত নয়৷ আগামীতে হতে পারে৷

NO FLASH Libyen Westerwelle und Niebel
ভেস্টারভেলে নাকি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে ক্রান্তি পরিষদকে জনসাধারণের বৈধ প্রতিনিধি বলে অভিহিত করেছেনছবি: picture-alliance/dpa

লিবিয়াতে জার্মানির সৈন্য পাঠানোও নিশ্চিত নয়, যদিও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের কাছে সেই দাবিই পেশ করেছেন৷ ভেস্টারভেলে বেনগাজি যাত্রার আগেই আবার বলেন, গাদ্দাফির পতনের পরও তাঁর লিবিয়ায় সৈন্যপ্রেরণের কোনো অভিপ্রায় নেই৷ ওদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী থমাস ডেমেইজিয়ার কিন্তু অন্যরকম আভাস দিয়েছেন৷ কাজেই এ'প্রশ্নেও জার্মান সরকারের অবস্থান যে শেষমেষ কি দাঁড়াবে, তা বলার উপায় নেই৷ তবে ভেস্টারভেলের এই ঝটিকা সফরের উদ্দেশ্য সম্ভবত ক্রান্তি পরিষদের সঙ্গে সংযোগ আরো ঘনিষ্ঠ করা এবং লিবিয়ার মানুষদের জন্য বাস্তব সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য