জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার
৭ মার্চ ২০১৯ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জার্মান রাষ্ট্রদূত বারবার ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছেন, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক আইনের লঙ্ঘন৷ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘বিরোধী রাজনৈতিক উগ্রপন্থিদের ষড়যন্ত্রের সাথে বিদেশি কূটনীতিকদের সংশ্লিষ্টতা সরকার মেনে নেবে না৷''
ডানিয়েল ক্রিনারকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, সরকার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের এ ঘটনা ভেনেজুয়েলায় বিদ্যমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেবে৷
ডানিয়েল ক্রিনার প্রায় এক বছর আগে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন৷ সোমবার তিনি দক্ষিণ আ্যমেরিকা সফর শেষে ফেরত আসা ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদোকে অভ্যর্থনা জানাতে ভেনেজুয়েলায় নিযুক্ত আরো কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন৷
গত বছর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে সম্প্রতি নিজেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন গুয়াইদো৷ যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ প্রায় ৫০টি দেশ নতুন করে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর উপর চাপ প্রয়োগ করছে৷ এ পরিস্থিতিতে, স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদোর উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মাদুরো প্রশাসন৷ কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১০ দিনের সফরে দক্ষিণ অ্যামেরিকার মিত্র দেশগুলোর কূটনীতিকদের সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন গুয়াইদো ৷
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে গুয়াইদোকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘‘জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক বিশ্বের জন্য হুমকি৷ জার্মান রাষ্ট্রদূত এখানে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছিলেন৷ কিন্তু এখন মনে হচ্ছে মাদুরো প্রশাসন ভেনেজুয়েলাকে সাহায্য করছে, এমন কাউকেই ক্ষমা করবে না৷''
মাদুরো প্রশাসনের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়াতে ইউরোপের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন গুয়াইদো৷
আরআর/জেডএইচ (ইইই, রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)