জার্মানিতে চতুর্থ ঢেউ রোখার জোর চেষ্টা
২ আগস্ট ২০২১ধীরে হলেও জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে৷ করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউয়ের মোকাবিলা করতে তাই একাধিক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে৷ তবে সেই ধাক্কা প্রতিহত করতে কর্তৃপক্ষ ঠিক সময়ে পদক্ষেপগুলি কার্যকর করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ বিশেষ করে গ্রীষ্মের ছুটির শেষে স্কুলের নতুন বছর শুরু হবার আগে কতটা উদ্যোগ নেওয়া যাবে, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে৷
আপাতত করোনা টিকা কর্মসূচিতে আরো গতি আনার উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে৷ ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ টিকার সব প্রয়োজনীয় ডোজ পেয়ে গেলেও বাকিদের মধ্যে অনেকে নানা কারণে টিকা নিচ্ছেন না৷ সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে তাদের মনে উৎসাহ জাগাতে নানা উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে৷ এসপিডি দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী ওলাফ শলৎস করোনা টিকাপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে বাকিদের বোঝানোর অনুরোধ করেছেন৷
জার্মানির সব মানুষ টিকা নেবার সুযোগ পেলেই সরকার বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে বলে একাধিক সূত্রে শোনা যাচ্ছে৷ তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখনো কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি৷ তবে বয়স বা স্বাস্থ্যের মতো বিভিন্ন কারণে যাদের পক্ষে করোনা টিকা নেওয়া সম্ভব নয়, তাদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম করা হবে৷
করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্টের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকাপ্রাপ্তরাও গুরুতরভাবে আক্রান্ত হওয়ায় কমপক্ষে বয়স্ক ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের জন্য বুস্টার ডোজ দেবার উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে৷ জার্মানিও সম্ভবত সেপ্টেম্বর মাস থেকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে৷ সোমবারই ফেডারেল ও রাজ্য স্তরের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷ জার্মানির টিকা কমিশন এখনো ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সিদের মধ্যে সামগ্রিকভাবে করোনা টিকার পরামর্শ না দিলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা স্কুলে টিকা দেবার উদ্যোগ নিতে পারেন৷ এক পর ১০ই আগস্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে সার্বিকভাবে আরও পদক্ষেপ ঘোষণা করা হতে পারে৷
জার্মানিতে করোনা টিকা বাধ্যতামূলক না হলেও টিকা না নেওয়া মানুষের উপর চাপ বেড়েই চলেছে৷ রবিবার থেকে জার্মানিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নেগেটিভ করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় টিকাপ্রাপ্ত ও করোনাজয়ীরা অন্যদের তুলনায় বেশি সুযোগ পেতে চলেছেন৷ রবিবার রাজধানী বার্লিনে কয়েক হাজার মানুষ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷ পুলিশ প্রায় ৬০০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে৷ বিক্ষোভের সময়ে পুলিশের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মনোভাব দেখা গেছে৷ ফ্রান্সেও দুই লাখের বেশি মানুষ শনিবার অনেক ক্ষেত্রে টিকা বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, এপি)