1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
প্যানোরামাজার্মানি

দক্ষ রোবট তৈরিতে অগ্রদূত জার্মানি?

২৭ নভেম্বর ২০২৪

জটিল কাজ করতে দক্ষ হিউম্যানয়েড রোবট তৈরি করছে নিউরা রোবোটিক্স৷

https://p.dw.com/p/4nStq
কেনিয়ার নাইরোবিতে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করছে রোবট
এরই মধ্যে বিশ্বের নানা প্রান্তে মানুষের আকৃতির রোবটকে কাজে লাগানো শুরু হয়েছেছবি: TONY KARUMBA/AFP

কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জার্মানিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সম্ভাব্য অগ্রদূত মনে করছে এবং এক্ষেত্রে চীনকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গোনায় ধরছেন না৷    

পরিমার্জিত রূপের এক রোবট, যেটি গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছে... কারখানাতেও ব্যবহার উপযোগী এই রোবট... তবে এমন রোবটও এখনো শুধু এনিমেশনে দেখা যাচ্ছে৷ নিউরার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত রোবট অবশ্য এরকম হতে পারে৷  

ডাভিড রেগার এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং ডেভেলপার৷ তিনি চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এআইযুক্ত মেশিন বিক্রি করেন৷ নিউরার প্রতিষ্ঠাতা ডাভিড রেগার এই বিষয়ে বলেন, ‘‘চীন সবভাবেই আমাদের জ্ঞান নিয়ে যাচ্ছে... এবং অন্যান্য দেশেও এটা ঘটে৷ আমি মনে করি জার্মানিতে আমাদের দ্রুত আগানো উচিত৷ প্রযুক্তির উন্নয়নে আমাদেরকে অগ্রদূতের দলে দাঁড়াতে হবে৷ আর এটাই মেইড জার্মানি... যেটি গোটা বিশ্বের জন্য প্রযুক্তি তৈরি করে৷''

একটি রোবটকে খুব ভালোভাবে কাজের উপযোগী করতে এআই সফটওয়্যার, ডিজাইন এবং অনেক সেন্সরের সমন্বয় ঘটাতে হয়৷ মেশিনটি অনেকটা মানুষের মতো বলের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছে৷

এমনকি সেগুলো স্যান্ডউইচ তৈরি করতে শিখছে৷ দক্ষ কর্মীর সংকট তৈরি হওয়ায় মেশিন গৃহকর্মীর চাহিদা বাড়ছে৷ নিউরার প্রতিষ্ঠাতা ডাভিড রেগার বলেন, ‘‘আর এক্ষেত্রে জার্মান কোম্পানিগুলো নেতৃত্ব দিতে পারে৷ আমরা এই বাজারটি হারাতে চাই না৷ আমরা বর্তমানে এক শীর্ষ অবস্থানে রয়েছি৷''

আসছে মানুষের মতো দেখতে রোবট

মেশিনগুলো বিভিন্ন কমান্ড অনুসরণ করছে৷ ফলে প্রোগ্রামিং সহজ হচ্ছে৷ ডাভিড রেগার বলেন, ‘‘সত্যিই রোবট কী ধরছে তা বুঝতে পারছে না৷ তবে এটি ঠিকভাবে ধরছে৷ এবং এক্ষেত্রে, বুঝতে পারছে এটিকে কখন শোয়ানো হয়েছে৷''

কোম্পানিটির ৩৫টি দেশে ২৬০ জন কর্মী রয়েছেন৷ তাদের মধ্যে ভারতের একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার আছেন৷ নিউরা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মেয়াঙ্ক প্যাটিল বলেন, ‘‘বর্তমানে ভারতে খুব কম প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো রোবট তৈরি করতে পারে৷ ফলে নিউরোলিংকের জন্য এটি ব্যবসা শুরুর আদর্শ স্থান৷ আমরা সেখানে বিক্রি করতে পারি, উৎপাদন করতে পারি৷ ব্যবসার কথা চিন্তা করলে ভারত বর্তমানে বড় বাজার৷''

প্রতিষ্ঠানটি ২০৩০ সাল নাগাদ পঞ্চাশ লাখ রোবট তৈরি করতে চায়৷ চলতি বছর এটি ৫০ মিলিয়ন ইউরো আয় করার আশা করছে৷ ডাভিড রেগার মনে করেন রোবোটিক্স একদিন জার্মানির গাড়ি শিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে৷  

প্রতিবেদন: কার্ল হেরেনব্রক/এআই