পদ্মা সেতু
১৮ ডিসেম্বর ২০১২পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঘুস লেনদেনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অবশেষে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক৷ কিন্তু আসামির তালিকায় নেই সাবেক যোগাযোগন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী৷ অথচ দুদক-এর অনুসন্ধান টিম তাদের তদন্ত প্রতিবেদেনে এই দু'জনকেও দায়ী করছিল বলে প্রকাশ৷
সোমবার দায়ের করা মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভুইয়া, সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, ক্যানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের বাংলাদেশি এজেন্ট মোহাম্মদ মোস্তফা, এসএনসি লাভালিনের সাবেক পরিচালক মো. ইসমাইল এবং এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ সাহ ও কেভিন ওয়ালেস৷
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এই ব্যক্তিরা ঘুস লেনদেনের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এসএনসি লাভালিনকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে কাজ পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন৷ তাঁদের কার্যাদেশ পেলে ঘুষ লেনদেন হতো৷ আর সাবেক যোগাযোগন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, তাঁদের বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ তবে টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামন ডয়চে ভেলেকে বলেন, সৈয়দ আবুল হোসেনকে বাদ দিয়ে এই মামলা বিশ্বব্যাংকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেনা৷ আর এ কারণেই পদ্মা সেতু প্রকল্প এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়লো৷
তিনি বলেন, দুদক-ও এই ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হলো৷ কারণ দুদক-এর অনুসন্ধান কমিটিই সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে, কিন্তু দুদক মামলা করার দৃঢ়তা দেখাতে পারলো না৷