‘আমি অতি সাধারণ’
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪অথচ মহিলাদের ভারোত্তোলনের ‘ক্লিন অ্যান্ড জার্ক'-এ ১৯২ কেজি ওজন তুলে একটু আগেই বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন তিনি৷ চীনের এই নারীর কাছে বিশ্বরেকর্ড আসলেই নতুন কিছু নয়৷ ২০১২-র লন্ডন অলিম্পিকেও বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন৷ পরে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন রাশিয়ার টাটিয়ানা কাশরিনা৷ ইনচন এশিয়ান গেমসে শুক্রবার টাটিয়ানাকে আবার পেছনে ফেললেন ঝোউ লুলু৷
ঝোউ ওজন তোলার মঞ্চে উঠেই চিৎকার করে বলেন, ‘কুইং সং', অর্থাৎ রিল্যাক্স৷ কিন্তু নিজেকে এভাবে নিশ্চিন্ত, নির্ভার রাখতে গিয়ে সেখানে উপস্থিত অনেকের মনেই আতঙ্ক ছড়িয়ে দেন৷ বিশাল দেহ, তার ওপর এমন চিৎকার – ভয় পেয়ে যাওয়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়৷ তবে শরীর দেখে বোঝার উপায় নেই ঝোউ লুলু কত সরল, সাধারণ মানুষ৷ নিজের সম্পর্কে নিজেই বললেন, ‘‘আমি মীন রাশির জাতিকা৷ তাই একটু রোম্যান্টিক৷'' সুযোগ পেলেই কেনাকাটা করতে যাওয়ার অভ্যাস আছে এটাও জানালেন৷ তবে পোশাক কিনতে গেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফিরে আসতে হয় হতাশ হয়ে৷ কারণটা জানিয়েছেন ঝোউ নিজেই,‘‘কিনতে যাই ঠিকই, তবে অধিকাংশ দিনই আমার গায়ে লাগবে এমন পোশাক খুঁজে পাই না৷''
এখন বিশ্বের বড় তারকা হলেও শৈশবে ঝোউ লুলু কিন্তু ভারোত্তোলন একটুও পছন্দ করতেন না৷ প্রশিক্ষণে এত কষ্ট করতে হয় দেখে প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময়ই চেয়েছিলেন ভারোত্তোলন ছেড়ে দিতে৷ এক সময় বুঝলেন, ভারোত্তোলন হাতে গোনা তেমন কয়েকটি খেলার একটি, যেখানে শরীরের গড়ন যেমনই হোক, কোনো সমস্যা নেই৷ বেশি শক্তিশালী হওয়া এবং বেশি ওজন তুলতে পারাটাই সেখানে আসল কথা৷ নিজের মোটাসোটা শরীরটার জন্য এ খেলাই সবচেয়ে ভালো – সেদিন এটা বুঝতে পেরেছিলেন বলেই আজও ভারোত্তোলনই তাঁর প্রেম৷ এই প্রেমে মশগুল বলেই বিশ্বরেকর্ড গড়েও ঝোউ লুলু বলতে পারেন, ‘‘আমি অতি সাধারণ মেয়ে৷ বিশ্বরেকর্ড গড়া বিশেষ কোনো ঘটনা নয়৷''
এসিবি/ডিজি (এএফপি)