ভারতে ৫০ ভাগ মানুষ মাস্কই পরে না
২১ মে ২০২১করোনার প্রথম ঢেউ থেকেই সরকার ও চিকিৎসকরা বার বার আবেদন জানিয়ে বলছেন, করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক পরতেই হবে। মানতেই হবে দূরত্ববিধি। কিন্তু এত প্রচার, এত আবেদন সত্ত্বেও ভারতের সাধারণ মানুষ চেতনাহীন। কেন্দ্রীয় সরকারি সমীক্ষা বলছে, দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করেন না। আর ঠিকভাবে মাস্ক পরেন মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ। যারা মাস্ক পরেন, তাদের ৬৪ শতাংশ নাকের নিচে মাস্ক নামিয়ে রাখেন। ২০ শতাংশ থুতনিতে রাখেন। দুই শতাংশ একেবারে গলায় রেখে দেন। ২৫টা শহরে সমীক্ষা চালিয়ে এই ফলাফল এসেছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ(আইসিএমআই) এই সমীক্ষা করেছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের অবস্থা বেহাল। প্রতিদিন আড়াই থেকে প্রায় তিন লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। দিন কয়েক আগেও প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছিলেন। এখন সংখ্যাটা কিছুটা কমেছে। হরিদ্বার থেকে বারাণসী পর্যন্ত গঙ্গা দিয়ে সমানে মৃতদেহ ভেসে আসছে। উত্তর প্রদেশে গঙ্গার তীরে বালিতে দেহ পোতা হয়েছে। এই মারাত্মক অবস্থাতেও মানুষের হুঁশ নেই।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সম্পাদক লব আগরওয়াল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আটটি রাজ্যে এক লাখের বেশি সক্রিয় রোগী আছেন। নয়টি রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে এক লাখের মধ্যে। তিনি বলেছেন, ‘‘কর্নাটক এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো সাতটি রাজ্যে সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশের বেশি। যা রীতিমতো উদ্বেগের বিষয়।''
এই পরিস্থিতিতে মাস্ক না পরাটা ভয়ংকর। দিল্লিতে এখন সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেক কমেছে। সংক্রমণের হার সাড়ে পাঁচ শতাংশ। তা সত্ত্বেও দিল্লির ছবি আলাদা কিছু নয়। বৃহস্পতিবারই চিত্তরঞ্জন পার্কের বাসিন্দা সুমিতা টিকা দিতে গিয়েছিলেন গোবিন্দপুরীতে। তিনি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''প্রচুর মানুষকে মাস্ক থুতনিতে নামিয়ে কথা বলতে দেখেছি। অনেকে গলায় মাস্ক ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। বিশেষ করে ক্রেতা-বিক্রেতারা এই কাণ্ড করছিলেন। সচেতনতার অভাব স্পষ্ট।''
আইসিএমআর জানিয়েছে, এখন প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। আগামী মাসে তা বেড়ে হবে ৪৫ লাখের মতো। কারণ, আরো বেশ কিছু সংস্থাকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)