মিয়ানমারে সেনা অভিযানে নিহত ২৫
৫ জুলাই ২০২১মিয়ানমারের গ্রামে সেনা অভিযান। গুলিতে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় মানুষের দাবি। সেনা এ বিষয়ে মুখ না খুললেও, সাধারণ মানুষের দাবি, সেনা-বিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যদের খুঁজতেই ওই গ্রামে ঢুকেছিল সশস্ত্র সেনা।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। তবে খবর বাইরে আসে রোববার। শুক্রবার মিয়ানমারের মধ্যভাগে অবস্থিত দেপায়িন অঞ্চলে আচমকাই অভিযান চালায় সেনা। প্রায় ১৫০ সেনা সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে ঢুকে পড়ে এলাকার ছয়টি গ্রামে। থান লুইন খেত নিউজে প্রথম এ খবর দেওয়া হয়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, গ্রামে ঢুকেই এলোপাথারি গুলি ছুড়তে শুরু করে সেনা। কোনোরকম ওয়ার্নিং পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
সেনা যখন ঢোকে, তখন খেতে কাজ করছিলেন সাধারণ মানুষ, সেনা ঢুকে তাদের লক্ষ্য করেও গুলি চালাতে থাকে। হতভম্ব মানুষ কোনোমতে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টায় দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। বহু মানুষ আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
সেনা এ বিষয়ে মুখ না খুললেও, সেনা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে সেনা সরকার বিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)এর সদস্যরা আছেন বলে সেনার কাছে খবর ছিল। তাদের মারতেই গ্রামগুলিতে ঢোকা হয়েছিল। পিডিএফের সদস্যরাও সেনার দিকে পাল্টা আক্রমণ চালায়। দেশি হাতিয়ার, ঘরে তৈরি বন্দুক নিয়ে তারা সেনাকে পাল্টা আক্রমণ করে। কিন্তু সেনার অস্ত্রের সামনে তাদের অস্ত্র বিশেষ কার্যকরী হয়নি। অপারেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পরে রাস্তায় অন্তত ২৫টি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ।
মিয়ানমারের পরিস্থিতি
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেমিয়ানমারের শাসন ক্ষমতা দখল করেছে সেনা। তারাই এখন সরকার চালাচ্ছে। পুরনো সমস্ত নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিচার চলছে অং সান সু চির। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ আন্দোলন করছেন। সেনা কঠোর হাতে তা দমন করছে। মিছিল লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পিডিএফ-ও সেই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। সেনার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার হিংসাত্মক আন্দোলন চালিয়েছে তারা। তারই জবাবে সেনার এই কাজ বলে স্থানীয় বেশ কিছু সংবাদপত্রের বক্তব্য। ঘটনায় বেশ কিছু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)