মেয়েদের মাথায় দক্ষিণ এশিয়ার মুকুট
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২নতুন ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা৷ কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে আসরের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারালো বাংলাদেশ৷ জোড়া গোল করেন কৃষ্ণা রানি সরকার, অন্য গোলটি করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র৷ স্বাগতিকদের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেছেন অনিতা বাসনেত৷
দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ম্যাচের বিরতি পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে যায় গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা৷ বদলি নামা শামসুন্নাহার জুনিয়র ম্যাচের ১৪তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন। এরপর ৪২তম মিনিটে দলের পক্ষে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কৃষ্ণা রানি সরকার৷
ম্যাচের প্রথম থেকেই নেপালের রক্ষণে ভীতি ছড়িয়েছিল বাংলাদেশ৷
ভুটানের বিপক্ষে সেমিফাইনালের শুরুর দিকে চোট পেয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন স্বপ্না৷ এদিন শুরুর একাদশে জায়গা পেলেও বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি৷ ১১তম মিনিটে তার জায়গায় নামানো হয় শামসুন্নাহারকে৷
মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যে গোল পেয়ে যান শামসুন্নাহার৷ ডান প্রান্তে মনিকা চাকমা প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে দারুণ ক্রস করেন ডি-বক্সের মধ্যে৷ চোখ ধাঁধানো ফ্লিকে জাল কাঁপান তিনি৷
৪২তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে থ্রু বল বাড়ান অধিনায়ক সাবিনা খাতুন৷ তা ধরে ঠাণ্ডা মাথায় বাঁ পায়ের কোণাকুণি শটে অঞ্জলির মাথার উপর দিয়ে নিশানা ভেদ করেন কৃষ্ণা৷
ম্যাচের ৭০ মিনিটে অনিতা শামসুন্নাহারকে ফেলে সহজেই ঢুকে যান বক্সে৷ এরপর কোনাকুনি শটে বাংলাদেশের জালে জড়িয়েছেন বল৷ ৭৭ মিনিটে কৃষ্ণা করেন তার দ্বিতীয় গোল৷ ৩-১ গোলে শিরোপা জিতে নেয় সাবিনার দল৷
ভারতের বিদায়ে এবার বাংলাদেশের মেয়েদের মাধ্যমে নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা পেল দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ফুটবল আসরটি৷ আগের আট দেখায় নেপালকে কখনও হারাতে পারেনি বাংলাদেশ৷ এবারের সাফে পাঁচ ম্যাচ খেলে সবকটিতে জিতল বাংলাদেশ৷ নেপালের বিপক্ষে আগের ৮ দেখায় বাংলাদেশের হার ছিল ৬টি, ড্র দুটি৷ ১৯৯৯ সালে এই নেপালেই প্রথমবার দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছিল বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল, ২২ বছর পর সেই নেপালেই সেরা হলেন মেয়েরা৷
সেমিফাইনালে ভুটানকে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হ্যাটট্রিকে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ৷সেমিফাইনালে ওঠার পথে বাংলার মেয়েরা ভারতকে ৩-০, পাকিস্তানকে ৬-০, মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে হারিয়ে এসেছিলেন৷
এপিবি/কেএম