‘‘লিবিয়ায় কোন স্থল সেনা নয়''- ভেস্টারভেলে
২০ এপ্রিল ২০১১দেশের পশ্চিমে বিদ্রোহীদের এই শেষ বড় ঘাঁটি সাত সপ্তাহেরও বেশি অবরোধের শিকার৷ কিন্তু সেখানে স্থলসেনা পাঠানোর বিরোধী জার্মানি৷ সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে আজ বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের বৈঠকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে লিবিয়ায় স্থলসেনা নিয়োগের বিষয়টি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ তিনি জোর দিয়ে বলেন: ‘‘জাতিসংঘের গৃহীত প্রস্তাবে স্থলসেনা নিয়োগের শর্ত নেই৷'' জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, লিবিয়ায় একটি দ্রুত সামরিক সমাধান সম্ভব, এরকম এক ধারণা থেকে অবশ্যই সরে আসতে হবে৷
লিবিয়ার সংকট মোচনে রাজনৈতিক সমাধানের কথাই বলেছেন মন্ত্রী ভেস্টারভেলে৷ তিনি বলেন: ‘‘রাজনৈতিক প্রক্রিয়াই একটি সমাধান বয়ে আনবে৷'' আর এই প্রক্রিয়াটাকে এগিয়ে নিতে প্রথমে একটি অস্ত্রবিরতির মধ্য দিয়ে অবশ্যই লিবিয়ার অসামরিক মানুষদের রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে৷ তাঁর মতে, মোয়াম্মার গাদ্দাফির অর্থের উৎস পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে, যাতে তিনি আরো ভাড়াটে সৈন্য সংগ্রহ করতে না পারেন৷ যার অর্থ, তিনি বলেন, গাদ্দাফির ওপর যে নিষেধাজ্ঞানীতি আরোপ করা হয়েছে, সেঠা এখনও সঠিক৷ আর এ ক্ষেত্রে জার্মানি নেতৃস্থানীয় এক ভূমিকা রেখেছে বলে জানান৷
লিবিয়ায় মানবিক সাহায্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে জার্মান সেনাদের সম্ভাব্য তৎপরতা নিয়ে সিদ্ধান্তটা অবশ্য খোলা রাখা হয়েছে৷ বুধবার বার্লিনে জার্মান সরকারের সহকারী মুখপাত্র ক্রিস্টফ স্টেগমান বলেছেন, এই মানবিক সাহায্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় সেনাদের সাহায্য চেয়ে কোন প্রস্তাব এখনও পর্যন্ত দেয়নি জাতিসংঘ৷ তবে নীতিগতভাবে এই তৎপরতার শরিক হতে জার্মানি প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ এই মুখপাত্র আরো জানান, লিবিয়ায় জাতিসংঘের মানবিক সাহায্য তৎপরতায় জার্মানির অংশ গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে কখনও কোন সংশয় রাখা হয়নি৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে যে, আবু ধাবির ইইউ-উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বৈঠকে প্রবল জনররোষের মুখে পড়া আরব দেশ ইয়েমেনের সংকটের বিষয়টিও উঠেছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভেস্টারভেলে মন্তব্য করেন, আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকে ঠিকঠাক গড়ে না তুলে এই অঞ্চলে কোন সমস্যার সমাধান করা যাবেনা৷
প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন