লিবিয়ায় ন্যাটো’র পর্যবেক্ষণ ড্রোন হারিয়ে গেছে
২২ জুন ২০১১মনুষ্যবিহীন ড্রোনগুলো সাধারণত নিয়ন্ত্রণ করা হয় বহুদূরের কোন ঘাঁটি থেকে৷ এগুলোর নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনেকটা কম্পিউটার গেম এর মতো৷ ইটালির নেপোলিতে অবস্থিত ন্যাটো কমান্ড সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, আমরা এখনো জানিনা কিভাবে মঙ্গলবার ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷
ছোট্ট হেলিকপ্টারটি গুলিতে ভূপাতিত হয়েছে নাকি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি৷ এটিতে পর্যবেক্ষণ ক্যামেরা এবং সেন্সর রয়েছে৷
এদিকে, লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি পোড়া হেলিকপ্টার দেখানো হয়েছে৷ সেদেশের দাবি, এটি একটি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার৷ রাজধানী লিবিয়া থেকে ১০০ মাইল পূর্বের শহর জিলটানে বিধ্বস্ত হয়েছে এই হেলিকপ্টারটি৷ ন্যাটো অবশ্য, এধরনের কোন বিমান দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে৷
লিবিয়ায় হারিয়ে যাওয়া ন্যাটো ড্রোনটি বর্তমান সময়ের অত্যন্ত শক্তিশালী পর্যবেক্ষক হেলিকপ্টার৷ এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ ২০,০০০ ফুট উপরে উড়তে পারে, ঘণ্টায় এটির সর্বোচ্চ গতি ২০০ কিলোমিটার এবং আট ঘণ্টার বেশি সময় পর্যন্ত একনাগারে আকাশে অবস্থান করতে পারে এই হেলিকপ্টার৷ আফগানিস্তানেও ফায়ার স্কাউট নামক এই ড্রোনগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে৷
ওদিকে, লিবিয়ায় বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনায় বেশ বিপাকে পড়েছে ন্যাটো৷ সামরিক জোটটির উইং কমান্ডার মাইক ব্রাকেন জানিয়েছেন, আমি মনে করি আমাদের সুনাম এবং বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নাতীত৷ তবে যা নিয়ে প্রশ্ন করা যায়, তাহলো গাদ্দাফি প্রশাসন মনুষ্যবর্ম ব্যবহার করছে এবং মসজিদ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছে৷
বলাবাহুল্য, সপ্তাহান্তে ত্রিপোলীতে বিমান হামলায় নয় বেসামরিক নাগরিক নিহতের খবর নিশ্চিত করার পর এই মন্তব্য করলেন ন্যাটো কমান্ডার৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ