1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবে ভেটো, সমালোচনার মুখে রাশিয়া ও চীন

৫ অক্টোবর ২০১১

সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়ন ও হত্যাকাণ্ড বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে ভেটো দিল রাশিয়া ও চীন৷ এই ঘটনার জন্য মস্কো ও বেইজিংয়ের সমালোচনা৷

https://p.dw.com/p/12mCH
epa02893476 A grab from an undated handout video made available by Shaam News Network on its youtube channel, shows Syrian security forces clashing with protesters after the Eid al-Fitr prayers, allegedly in Nakhl area of Deraa, Syria, 30 August 2011. According to media report on 02 september 2011, At least four people were killed and dozens were injured when Syrian security forces opened fire late 01 September on pro-democracy protesters in the flashpoint city of Homs, activists based in Lebanon told the German Press Agency DPA. The United Nations says more than 2000 civilians have been killed since the protests began in mid-March 2011. Syrian President Bashar al-Assad has repeatedly blamed the unrest in his country on 'armed terrorist groups'. EPA/SHAAM NEWS NETWORK/HANDOUT BEST QUALITY AVAILABLE. EPA IS USING AN IMAGE FROM AN ALTERNATIVE SOURCE, THEREFORE EPA COULD NOT CONFIRM THE EXACT DATE AND SOURCE OF THE IMAGE. HANDOUT EDITORIAL USE ONLY/NO SALES
ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/dpa

জাতিসংঘের হিসাবে সিরিয়ায় চলমান বিক্ষোভ-আন্দোলনে এপর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে আরো অসংখ্য গণতন্ত্রকামী নাগরিক৷ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের এমন নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার গোটা বিশ্ব৷ তবে রাশিয়া ও চীন বলতে গেলে একেবারে চুপ৷ গত ছয় মাস ধরে আলোচনার পর জার্মানি, যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল ও ফ্রান্স সিরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব উত্থাপন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে৷ অথচ সেই প্রস্তাব অনুমোদনেও ভেটো দিল রাশিয়া ও চীন৷ এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, ব্রাজিল এবং লেবানন ভোট দান থেকে বিরত ছিল৷ তবে রাশিয়া ও চীনের এমন অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ৷ এছাড়া এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স৷

সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ার রুশ ও চীনা সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দামেস্ক৷ প্রেসিডেন্ট আসাদের মুখপাত্র বুসাইনা শাবান এটিকে ঐতিহাসিক দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় সিরিয়ার জনগণ আনন্দিত যে, দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় বহির্শক্তির সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মতো দেশও রয়েছে৷'' অবশ্য তিনি এও বলেন যে, রাশিয়া এবং চীনের এই সিদ্ধান্তের ফলে সিরিয়ার মানুষ আরো কিছুটা সময় পেল সংস্কার সাধন ও বাস্তবায়নের জন্য৷

Innenansicht des Sicherheitsrates der Vereinten Nationen, aufgenommen am 13.07.2011 in New York (USA). Die Debatte dreht sich um das Thema "Empfehlung zur Aufnahme des Südsudan". Foto: Soeren Stache
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকছবি: picture alliance/dpa

এদিকে, রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবে ভেটো দিলেও চলতি মাসেই সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর দু'টি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছে মস্কো৷ রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলেক্সান্ডার লুকাশেভিচ বলেছেন, দামেস্ক ভিত্তিক বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর একটি দল এবং ইতিমধ্যে বিরোধীদের গঠিত জাতীয় পরিষদের একটি দলকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে৷ ফলে সিরিয়ার সংকটের একটি সমাধান সূত্র বের করার ব্যাপারে আন্তরিক মস্কো এমনটি মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ কিন্তু তুরস্ক থেকে এসেছে বেশ কড়া সুর৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইপ এর্দোয়ান জানিয়েছেন যে, নিরাপত্তা পরিষদে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব অনুমোদন না হলেও তুরস্ক নিজেই ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মতো সিরিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে৷ উল্লেখ্য, গত মাসেও তুরস্ক সিরিয়াগামী একটি অস্ত্রভর্তি জাহাজ আটকে দিয়েছিল এবং প্রতিবেশী এই দেশটিতে সরকারি বাহিনীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান আঙ্কারার৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান