‘সিরিয়ায় হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে প্রলয়কাণ্ড ঘটবে’
৩০ অক্টোবর ২০১১‘প্রলয়কাণ্ড'
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সাধারণত গণমাধ্যমকে অন্তরঙ্গ সাক্ষাৎকার দেন না৷ তাই, যুক্তরাজ্যের একটি পত্রিকাকে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকার ব্যাপক সাড়া ফেলেছে৷ এমন এক সময় বাশার মুখ খুললেন, যখন সারা বিশ্বের নজর তাঁর দেশের দিকে৷ সেখানে গণঅসন্তোষ বাড়ছে৷ গণতন্ত্রকামীদের দমন করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকারি বাহিনী৷
লন্ডনের সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাশার কার্যত পশ্চিমা সমাজকে সতর্ক করলেন৷ সিরিয়াকে মধ্যপ্রাচ্যের কেন্দ্র হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি৷ এই কেন্দ্রে কোন সমস্যা হলে তা সমগ্র অঞ্চলকে জ্বালিয়ে দেবে বলেও জানান আসাদ৷ তিনি দাবি করেন, ‘‘পশ্চিমা বিশ্ব নিশ্চিতভাবে তাঁর দেশের উপর চাপ বাড়াতে যাচ্ছে''৷
বাশার অবশ্য স্বীকার করেছেন, তাঁর সেনাবাহিনী শুরুতে অনেক ভুল করেছে৷ তবে বর্তমানে শুধু সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি৷
আন্তর্জাতিক সমাজ
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কী-মুন জানিয়েছেন, আসাদের উচিত পরিবর্তনের দাবিতে সাড়া দিয়ে জরুরী সংস্কার কাজ শুরু করা৷ এছাড়া বাশার প্রশাসনকে দমনপীড়ন এবং সহিংসতার পথ থেকে সরে এসে সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানান মুন৷ সিরিয়া বিষয়ক আরব লিগের কমিটিও বেসামরিক জনগণকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সেদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷
হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে
বার্তাসংস্থাগুলো জানাচ্ছে, শনিবার সিরিয়ায় সহিংসতায় কমপক্ষে ৫০ জন বেসামরিক এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছে৷ আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, ২১ বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারায়৷ হামা শহরে নিহতের সংখ্যা ১২ এবং হোমসে তিন৷ হামা শহরের একটি জেলা লক্ষ্য করে সেনারা ট্যাংক থেকে গোলা নিক্ষেপ করছে বলেও খবর৷ এছাড়া হোমস শহরে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ত্যাগীদের সঙ্গে সরকারি সেনাদের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে ২০ সেনা এবং আহত হয় ৫৩ জন৷
বলাবাহুল্য, সিরিয়ায় গত মার্চ মাস থেকে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলনে সব মিলিয়ে প্রাণ হারিয়েছে তিন হাজারের বেশি মানুষ৷ বাশার আল-আসাদকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না গণতন্ত্রকামীরা৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম