1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হলিউড ছবির সেট সাজান যিনি

গ্যোনা কেটেল্স/এসি১৪ এপ্রিল ২০১৬

ব্যার্ন্ড হেনরিশ পেশায় সেট ডেকরেটর৷ এবার একসঙ্গে ব্রিটিশ বাফটা অ্যাওয়ার্ডস আর হলিউডের অস্কারের জন্য মনোনীত৷ বোর্ন আইডেন্টিটি, ব্রিজ অফ স্পাইজ, অপারেশন ভ্যালকিরির মতো ছবির সেট তৈরি করেছেন৷

https://p.dw.com/p/1IUYD
DW Euromaxx Bernhard Henrich
ছবি: dpa

টম হ্যাংকস অভিনীত ‘‘ব্রিজ অফ স্পাইজ'' থ্রিলার ছবিটির সেট ডেকরেশনের দায়িত্বে ছিলেন এক জার্মান, ব্যার্নহার্ড হেনরিশ৷ ছবিটিতে ঠান্ডা লড়াইয়ের আমলের পরিবেশ ধরা পড়েছে৷ হেনরিশ বলেন, ‘‘স্বভাবতই একটা দারুণ ব্যাপার! আমি সন্ধ্যায় জানতে পারি যে, আমাকে বাফটা-র জন্য মনোনীত করা হয়েছে; তারপরেই আসে অস্কার মনোনয়নের খবর৷ প্রায় বাড়াবাড়ি বলা চলে৷ আমি ভেবেই পাচ্ছিলাম না, আমি কী করব৷ স্ত্রী বাড়ি ফিরলেন, ফিরে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন৷ আমি তখন চাইছি সারা পৃথিবীকে এ খবরটা জানাতে৷ কাজেই আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে বেল টিপলাম৷ তিনিও আমাকে জড়িয়ে ধরলেন৷ অথচ বেচারা জানতেনও না, কেন!''

আগে রিসার্চ, পরে কাজ

হেনরিশের কাজ হলো সেটের জন্য আসবাবপত্র, অন্যান্য ডেকরেশন যোগাড় করা৷ এ সবের খোঁজে সারা ইউরোপ চষে বেড়াতে হয় তাঁকে৷ আগে ছবিটার যুগ ও সেটিং সম্পর্কে পড়াশুনো করে নেন হেনরিশ৷ কিন্তু শেষমেষ সেট কিরকম দেখতে হবে, সেটা নির্ভর করে হেনরিশের সৃজনীশক্তি ও কল্পনার ওপর৷ হেনরিশ জানালেন, ‘‘আমি রিসার্চ করি এইভাবে: দেখি, সিনটাতে কী রাখা যায়; আমাদের কী বানাতে হবে৷

তারপর প্রতিটি খুঁটিনাটি নিখুঁত হওয়া চাই৷ সেকালে যেমন ছিল, অনেক ক্ষেত্রেই পুরোপুরি সেরকম হয় না – বরং খানিকটা মানিয়ে নেওয়া হয় – তবে জেনেশুনে৷''

৪০ বছর ধরে সেট ডেকরেশনের কাজ করে আসছেন হেনরিশ৷ ‘দ্য বোর্ন আইডেন্টিটি' নামের জার্মান-অ্যামেরিকান স্পাই ফিল্মটির সেট বানিয়েছিলেন তিনি৷ বোর্ন-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ম্যাট ডেমন৷ ‘অপারেশন ভ্যালকিরি' ছবিটির সেট বানানোর দায়িত্বও ছিল হেনরিশের ওপর৷ হিটলারকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন গ্রাফ ফন স্টাউফেনব্যার্গ – সেই ভূমিকায় অভিনয় করেন টম ক্রুজ৷ হেনরিশকে সৃষ্টি করতে হয়েছিল নাৎসি আমলের পরিবেশ৷ সেজন্য তিনি মাসের পর মাস বইপত্র ঘেঁটেছেন, অন্যান্য সূত্র দেখেছেন খুঁটিনাটির সন্ধানে৷ হেনরিশের সেট সম্বলিত আরেকটি ছবি হলো ‘মনুমেন্টস মেন' – এটিও থার্ড রাইখের কাহিনি৷

ব্যাবেল্সব্যার্গ স্টুডিও

নব্বই-এর দশক থেকে পট্সডামের ব্যাবেল্সব্যার্গ স্টুডিও-য় বড় বড় আন্তর্জাতিক ব্লকবাস্টার ছবির শুটিং হয়েছে৷ হেনরিশ বললেন, ‘‘কালে কালে এখানে যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটা অবিশ্বাস্য৷

আমি ২৩টা দেশে কাজ করেছি, চিরকাল দৌড়োদৌড়ি করেছি, কিন্তু ব্যাবেল্সব্যার্গ হবার পর – এই ধরুন নব্বই-এর দশক থেকে শুরু করে অনেক প্রোডাকশনই এখানে করেছি৷ তার আর একটা সুবিধা হয়েছে, আমি বাড়িতে থেকে কাজ করতে পেরেছি৷''

বার্লিনের কাছে পট্সডামে অবস্থিত ব্যাবেল্সব্যার্গ স্টুডিও হলো ইউরোপের সবচেয়ে বড় ফিল্ম স্টুডিও৷ ১৯১২ সাল থেকে এখানে ছবি তৈরি হচ্ছে৷ ব্যাবেল্সব্যার্গে খুব ভালো হাতের কাজ করা হয়৷ স্টুডিও-র আর্ট ডিপার্টমেন্টে ছুতোর, কামার, রাজমিস্ত্রি, রং করার মিস্ত্রি, নানা ধরনের কারিগর রাখা হয় – তারা সকলে ফিল্মের সেট তৈরির কাজ করেন৷

যা অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না, তা এখানে অর্ডার দিয়ে তৈরি করান ব্যার্ন্ড হেনরিশ৷ তিনি জানালেন, ‘‘আমি ইংল্যান্ডে আর্ট ডেকো আসবাবের একটা বড় ডিপো খুঁজে পেয়েছিলাম – কিন্তু তার সঙ্গে মানানসই যে টেবিলটা ছিল, সেটা ভাড়া দেওয়া হয়ে গিয়েছিল৷ সেই টেবিলটা ছিল এই টেবিল, এখানে যেটা দেখছেন, এটার মতো৷ ব্যাবেল্সব্যার্গ স্টুডিও-র আর্ট ডিপার্টমেন্ট টেবিলের ফটো দেখে দিন তিনেকের মধ্যে এই টেবিলটা বানিয়ে দিয়েছে৷''

‘ব্রিজ অফ স্পাইজ' ছবিটির শুটিং-ও হয় এই ব্যাবেল্সব্যার্গ স্টুডিওতে৷ হেনরিশ এভাবেই বহু হলিউড তারকার সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন৷ ৬৩ বছরের জীবনে তাঁর গল্পও জুটেছে খুব কম নয়৷ তার একটি শোনালেন হেনরিশ৷ বললেন, ‘‘এই সুবিশাল জিনিসটি – টেলিভিশন, রেডিও, রেকর্ড-প্লেয়ার, সব একসঙ্গে – এটা স্টিভেন স্পিলবার্গের খুব ভালো লেগেছিল – না, না, টম হ্যাংকস-এর এতো ভালো লেগেছিল যে, স্পিলবার্গ এটা কিনে টম হ্যাংকসকে উপহার দেন৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান