1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিহাইতি

হাইতির রাজধানীতে ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্সের কাজ বন্ধ

২০ নভেম্বর ২০২৪

এনজিওটি জানিয়েছে, তাদের কর্মীদের ধর্ষণ ও মৃত্যুর হুমকি দিয়েছে হাইতির পুলিশ। এর ফলে দেশটির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে কয়েকটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে তারা।

https://p.dw.com/p/4nD0N
ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে বলেছে, পুলিশ একাধিকবার তাদের গাড়ি থামিয়েছে এবং সরাসরি তাদের কর্মীদের হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে।
হাইতিতে ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্সের কার্যক্রম বন্ধছবি: Ricardo Arduengo/AFP/Getty Images

ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে বলেছে, পুলিশ একাধিকবার তাদের গাড়ি থামিয়েছে এবং সরাসরি তাদের কর্মীদের হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে। 

এমএসএফ-এর হাইতি মিশন প্রধান ক্রিস্টোফ গার্নিয়ার বলেন, "আমরা হাইতি এবং অন্যান্য স্থানে চরম নিরাপত্তাহীনতার পরিস্থিতিতে কাজ করতে অভ্যস্ত। কিন্তু যখন আইন প্রয়োগকারীরা সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়ায় তখন আমাদের প্রকল্পগুলো স্থগিত করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।"

এমএসএফ জানিয়েছে, 'পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত' পোর্ট-অ-প্রিন্স এবং পার্শ্ববর্তী মেট্রোপলিটন এলাকায় তাদের কার্যক্রম বুধবার থেকে স্থগিত থাকবে।

অ্যাম্বুলেন্সে পুলিশের হামলা

গত সপ্তাহে এমএসএফ এর একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করে দুই রোগীকে গুলি করে হত্যা করে হাইতির পুলিশ।

সাম্প্রতিক সময়ে হুমকি দেয়ার অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। এনজিওটি থেকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এমন একটি ঘটনায় সাদা পোশাকের এক পুলিশ কর্মকর্তা আগামী সপ্তাহ থেকে এমএসএফ এর কর্মী, রোগী এবং অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেয়া ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেয়া একটি পোস্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, "আমাদের কাজে করতে না পারার প্রতিটা দিনই একটি ট্র্যাজেডি। অত্যন্ত কঠিন এই বছরে বিস্তৃত চিকিৎসা পরিষেবার প্রদানকারী কয়েকটির একটি আমরা।"

সংস্থাটি বলেছে, "তবে, আমরা আর এমন পরিবেশে কাজ চালিয়ে যেতে পারি না যেখানে আমাদের কর্মীরা আক্রমণ, ধর্ষণ বা এমনকি নিহত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে!"

এদিকে, পুলিশ এবং বেসামরিক আত্মরক্ষা দলগুলো পোর্ট-অ-প্রিন্সে মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে ২৮ জন সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্য নিহত হয়েছেন। এরপর নিহতদের মরদেহ রাস্তায় নিয়ে এসে গাড়ির টায়ার জড়ো করে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

রাজধানীর তিন-চতুর্থাংশ চিকিৎসা সেবা বন্ধ

হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে ২০২৪ সালের মার্চ থেকে জরুরি অবস্থার জারি রয়েছে। সহিংসতার মাধ্যমে রাজধানীর বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিভিন্ন গ্যাং।

হাইতিতে প্রায় তিন দশক ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এমএসএফ। সংস্থাটি সহিংসতা-বিধ্বস্ত শহরটিতে বিনামূল্যে অন্যতম স্বাস্থ্যসেবা দানকারী। ট্রমা ইনজুরির জন্য বেশ কয়েকটি কেন্দ্র এবং একটি বার্ন ক্লিনিক পরিচালনা করে এমএসএফ।

অক্টোবরে দেয়া জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী শহরটিতে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলোর কেবল ২৪ শতাংশ চালু রয়েছে।

এমএসএফ জানিয়েছে যে এরই মধ্যে তাদের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পাঁচ রোগীর চিকিৎসা চলবে। দেশের দক্ষিণের শহর পোর্ট-আ-পিমেন্টে মোবাইল ক্লিনিক এবং মাতৃস্বাস্থ্য কার্যক্রম চালু থাকবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

এডিকে/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)