1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা: চীনে মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেল

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চীনের নাগরিকদের দেশে ঢোকা বন্ধ করল রাশিয়া৷ অন্য দিকে, চীনে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়ালো দুই হাজার৷

https://p.dw.com/p/3XyzI
ছবি: picture-alliance/AP/Chinatopix

মঙ্গলবার চীনের স্বাস্থ্য দফতর দাবি করেছিল, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে খানিকটা হলেও লাগাম টানা গিয়েছে। কমেছে মৃতের সংখ্যা। নতুন করে সংক্রমণের হারও কমেছে। কিন্তু বুধবারই পরিস্থিতি বদলে গেল। এক দিনে ফের মৃত্যু হল ১৩৬ জনের। যার জেরে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল দু'হাজার। বুধবার নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৪৯ জন। অন্য দিকে, দু'সপ্তাহ ধরে জাপানের উপকূলে দাঁড়িয়ে থাকার পরে অবশেষে প্রমোদতরিতে থেকে মুক্তি পেলেন প্রায় ৫০০ জন। আগামী তিন দিনের মধ্যে সকলেই মুক্তি পাবেন বলে জাপান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

গত দুই সপ্তাহ ধরে জাপানের উপকূলে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল প্রমোদ তরি ডায়মন্ড প্রিন্সেসকে। প্রায় তিন হাজার যাত্রী ছিলেন ওই জাহাজের ভিতরে। জাপান উপকূলে জাহাজটি পৌঁছনোর পরে দেখা যায় ভিতরে বেশ কিছু যাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু আছে। সেই থেকে উপকূল থেকে খানিক দূরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় জাহাজটিকে। আটকে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ। ক্রমশ জাহাজের ভিতরে ছড়াতে থাকে করোনার সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৪২ জনের শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছে। শুরু হয়েছে তাঁদের চিকিৎসাও।

চীনের হুবেই প্রদেশ কার্যত মৃত্যুপুরীর চেহারা নিয়েছে। বুধবার নতুন করে যে ১৩৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে তার মধ্যে ১৩৪ জনই হুবেই প্রদেশের। হুবেইয়ের হাসপাতালে নার্সদের ছবিও চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে টানা মাস্ক লাগিয়ে কাজ করার জন্য তাঁদের নাকে এবং গালে গভীর দাগ তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসক এবং নার্সরা ব্যবহার করছেন বড়দের ডায়েপার। যাতে শৌচাগারে যাওয়ার সময়টুকুও নষ্ট না হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, চীনের পরিস্থিতি এখনও হাতের বাইরে চলে যায়নি। তবে অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে চীনের নাগরিকদের দেশে ঢোকার অনুমতি সম্পূর্ণ বাতিল করল রাশিয়া। রাশিয়ার অভিবাসন দফতর জানিয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনের কোনও নাগরিককেই সে দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে একই সঙ্গে জানানো হয়েছে এই ব্যবস্থা সাময়িক সময়ের জন্য।

হংকংয়ে আগেই করোনার প্রকোপে মৃত্যু হয়েছিল এক জনের। বুধবার আরও এক জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অন্য দিকে, দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ার খবর মিলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য দফতরের এক ব্যক্তি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বুধবার নতুন করে ১০ জনের শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছে। উত্তর কোরিয়াতেও করোনা ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে সে দেশের সরকার এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও খবর বাইরে প্রকাশ করেনি।

ভারতে উহান থেকে যাদের নিয়ে এসে আধা সেনা ছাউনিতে আলাদা করে রাখা হয়েছিল, তাদের সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ ইন্দো টিবেটান বর্ডার ফোর্সের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার সকালে একই পরিবারের ছয় জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ সবমিলিয়ে ৪০৬জনকে ছেড়ে দেওয়া হল৷ তাদের কারও শরীরে করোনার সংক্রমণ হয়নি৷ তবে জানুয়ারি মাসে যাঁরা চীন থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন তাঁদের এখনও বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে করোনার সংক্রমণ আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। 

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, আল জাজিরা, এএফপি)