চীনের নতুন ভ্যাকসিন কার্যকরী: ডাব্লিউএইচও
২ জুন ২০২১আরো একটি কোভিড ভ্যাকসিন বাজারে আনল চীন। সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও তার অনুমোদন দিয়েছে। নতুন ভ্যাকসিনের নাম সিনোভ্যাক। এর আগে আরো একটি ভ্যাকসিন বাজারে এনেছিল চীন। চীনই প্রথম দেশ, যারা দুইটি কোভিড ভ্যাকসিন প্রস্তুত করে ফেলল।
ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে, সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনটির সমস্ত রকম পরীক্ষা করা হয়েছে। ৫১ থেকে ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর এই ভ্যাকসিনটি। দামও সস্তা। ফলে অপেক্ষাকৃত গরিব দেশগুলিতে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করা যাবে। এই ভ্যাকসিন মজুত করাও সহজ। ফাইজারের মতো কম তাপমাত্রায় রাখার প্রয়োজন হয় না।
ভ্যাকসিন অসাম্য
গোটা বিশ্বে ভ্যাকসিন অসাম্যের কথা বার বার জানাচ্ছে ডাব্লিউএইচও। সোমবারও সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশ সমান পরিমাণ ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। বিশেষ করে গরিব দেশগুলিতে ভ্যাকসিন পৌঁছাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সিনোভ্যাক প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছে, মে মাসের শেষ সপ্তাহে চীন এবং বিদেশে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডোজ পাঠিয়েছে তারা। অদূর ভবিষ্যতে আরো ডোজ পাঠানো হবে। যে দেশে ভ্যাকসিনের চাহিদা আছে, সে সমস্ত দেশকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে বিশ্বের ২২টি দেশ এই ভ্যাকসিন আপাতত পাবে বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, ভ্যাকসিন নেয়া থাকলে করোনার প্রকোপ যে কম হচ্ছে, তা প্রমাণিত। ভ্যাকসিন নিয়েও অনেকে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, কিন্তু তাদের প্রাণ সংশয় হচ্ছে না।
চিকিৎসকদের একাংশ অবশ্য বলছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে এই কথাগুলি আর কার্যকর হবে না। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় এশিয়ায় যে করোনার যে মিউটেন্ট মিলেছে, তা কোনো টিকাই আটকাতে পারবে না। শুধু তাই নয়, এই নতুন প্রকার আরো মারাত্মক চেহারা নেবে এবং প্রাণঘাতী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে গোটা বিশ্বকেই আরো সচেতন হতে হবে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি)