ব্রেগায় ন্যাটোর হামলায় বেসামরিক হতাহতের অভিযোগ
২৬ জুন ২০১১ব্রেগায় বিমান হামলা
একাধিক সংবাদসংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ব্রেগা শহরে গাদ্দাফির সেনাদের একটি আস্তানায় শুক্রবার গভীর রাতে বিমান হামলা চালায় ন্যাটো৷ সেখানে সেনা উপস্থিতির ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে এই হামলায় অংশ নেয় ন্যাটো৷ এই বিষয়ে সামরিক জোটটির এক কর্মকর্তা জানান, যে ভবনটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেটিতে গাদ্দাফির সেনারা অবস্থান করছিল৷ সেখান থেকে আজদাবিয়া শহরে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছিল সরকারি সেনারা৷ কিন্তু লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ব্রেগায় ন্যাটোর বিমান হামলায় ১৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে৷ সেদেশের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, এই এলাকায় শুক্রবার ন্যাটোর আরেকটি হামলায় প্রাণ হারায় পাঁচ বেসামরিক নাগরিক৷
ন্যাটোর বক্তব্য
ন্যাটোর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের কোন ইঙ্গিত তারা পায়নি৷ তাছাড়া বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে সম্ভাব্য সকল চেষ্টাই করছে ন্যাটো, বলে জানান তিনি৷ বলাবাহুল্য, লিবিয়ার সরকার দাবি করেছে, গত তিনমাসে ন্যাটোর বিমান হামলা সেদেশে সাতশত'র বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে৷ তবে এই বিশাল হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ প্রকাশ করতে সক্ষম হয়নি লিবিয়ার প্রশাসন৷ ন্যাটো শুধুমাত্র গত সপ্তাহে ত্রিপোলিতে বিমান হামলায় বেসামরিক প্রাণহানির কথা স্বীকার করেছে৷
ত্রিপোলিতে বিস্ফোরণ
শনিবার রাতেও ত্রিপোলিতে কমপক্ষে চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে৷ সেখানে অবস্থানরত বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদক জানিয়েছেন এই তথ্য৷ লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও দাবি করেছে, ত্রিপোলির খালাত আল ফারজান এলাকায় সরকারি ভবনে হামলা চালিয়েছে ন্যাটো'র জঙ্গি বিমান৷ শনিবার মধ্যরাতে এই হামলা চালানো হয়েছে বলেই খবর৷
আলোচনার উদ্যোগ
সেদেশের বিদ্রোহীদের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক সমঝোতায় রাজি তারা৷ তবে সেই আলোচনার অন্যতম শর্ত হচ্ছে, গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে৷ অবশ্য গাদ্দাফি এখনো এমন আলোচনায় সম্মত হননি৷ বরং সর্বশেষ বিবৃতিতে গাদ্দাফি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই