লিবিয়ার আকাশে এবার ড্রোন বিমান থেকে আক্রমণ
২২ এপ্রিল ২০১১লিবিয়াতে ড্রোন পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন গেটস
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে জানিয়ে দিলেন, লিবিয়ায় একেবারে জায়গা বুঝে আক্রমণ শানাতে ড্রোন বিমান পাঠানো হবে এবার৷ সাংবাদিকদের সামনে গেটসের বক্তব্য, প্রেসিডেন্ট ওবামা চান মার্কিন যুদ্ধকৌশলের সবসেরা ব্যবস্থা ব্যবহার করতে৷ আর সেক্ষেত্রে ড্রোন বিমানের কোন বিকল্প নেই নিঃসন্দেহে৷ কারণ, নির্দিষ্ট নিশানায় বোমা ফেলতে এই পদ্ধতি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য৷ তাছাড়া, এই বিমানগুলি চালকবিহীন এবং খুব স্বল্প উচ্চতায় সেগুলি উড়তে পারে৷ ফলে, ঘনবসতি পূর্ণ শহরাঞ্চলের যেসব জায়গায় ট্যাঙ্ক বা অন্যান্য সমরাস্ত্র রয়েছে গাদ্দাফিবাহিনীর, সেইসব নিশানায় সহজে আঘাত হানতে পারবে এই বিমান৷
আপাতত দুটি প্রিডেটর ড্রোন পাঠাচ্ছে অ্যামেরিকা
ন্যাটোবাহিনী লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সাহায্য করতে যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাতে আপাতত দুটি প্রিডেটর ড্রোন বিমান দিয়ে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র৷ গেটস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে লিবিয়ার গাদ্দাফি বিরোধী বিদ্রোহীরা সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে৷ ন্যাটো তাদের কাজ সহজ করতে কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ সেই উদ্যোগ যাতে ত্বরান্বিত হয়, সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত৷
এর ফলে কি সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল অ্যামেরিকা
বাইরে থেকে বিষয়টাকে যেমনই দেখাক, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস – এর দাবি, অ্যামেরিকা এই যুদ্ধে সাহায্য করলেও সরাসরি তাতে জড়ায় নি এখনও৷ আন্তর্জাতিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করছে৷ আর এই বিমান দিয়ে সাহায্য করাটা তারই একটা পদ্ধতি মাত্র৷
তিউনিশিয়া সীমান্তের একটি চৌকি দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা
বৃহস্পতিবার লিবিয়া তিউনিশিয়া সীমান্তের একটি সামরিক চৌকির দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা৷ ওই চৌকির প্রহরায় থাকা শ'খানেক গাদ্দাফি অনুগত সেনা আত্মসমর্পণ করেছে বিদ্রোহীদের কাছে৷ লিবিয়ার নালুট আর ডেহিবা শহরের মধ্যবর্তী এই সামরিক চৌকির দখল নেওয়ার ফলে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে বেশ অগ্রগতি হল বলে মনে করা হচ্ছে৷
প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন