সিরিয়ায় ঈদ উৎসবের দিনে ১১ বিক্ষোভকারী নিহত
৬ নভেম্বর ২০১১গত সপ্তাহে আরব লিগের শান্তি পরিকল্পনা মেনে নিয়ে সিরিয়ায় দমন-পীড়ন বন্ধে রাজি হয়েছিল প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ প্রশাসন৷ তবুও প্রায় প্রতিদিনই দেশটিতে বিরোধী দলের লোকদের উপর হত্যা-নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে৷ রবিবার পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে সিরিয়ার মানুষ আসাদ বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ এসময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে৷ এছাড়া হোমস, হামা এবং ইদলিব শহরে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালিয়েছে সরকারি বাহিনী৷ এতে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার বিরোধী দলগুলোর জোট জেনারেল সিরিয়ান রেভোলুশন কমিটি৷
এদিকে, ঐতিহ্যগতভাবেই প্রতি বছর রাজধানী দামেস্কে ঈদের নামাজে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ৷ তবে সম্প্রতি দামেস্ক শহরে আসাদ বিরোধী বিক্ষোভ দেখা গেছে বেশ জোরে শোরে৷ সম্ভবত সেই কারণেই এ বছর প্রেসিডেন্ট আসাদ ঈদুল আজহার নামাজ পড়েছেন উত্তরাঞ্চলের রাক্কা শহরের আল-নুর মসজিদে৷
অন্যদিকে, রবিবার সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করলেন ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আলেঁ জুপে৷ ইউরোপের একটি বেতারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফরাসি নেতা জুপে বলেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে এই প্রশাসনের কাছ থেকে আর কিছুই আশা করা যায় না৷ বারবার ঘোষণা দিলেও এই সরকার কোন সংস্কার করবে না৷ ইতিমধ্যে বাশার আল-আসাদকে সমঝোতায় রাজি করাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ অথচ সেখানে সর্বশেষ কী ঘটছে তা দেখুন, বাশার আল-আসাদ আরব লিগের শান্তি পরিকল্পনার সাথে একমত পোষণ করার পরদিনই আবারো রাজপথে গণহত্যা চালিয়েছে তারা৷''
অবশ্য সিরিয়ায় হত্যা-নির্যাতন বন্ধে সামরিক হস্তক্ষেপ করার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন এই ফরাসি কূটনীতিক৷ তিনি বলেন, ‘‘জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত ছাড়া ফ্রান্স সেখানে কোন সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণ করবে না৷ তবে এটাও বেশ স্পষ্ট যে, এ ব্যাপারে জাতিসংঘও কোন সিদ্ধান্ত নেবে না৷'' এ পরিস্থিতিতে বিরোধীদের সুসংগঠিত করার উপর জোর দেন জুপে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিরোধী দলগুলোর সাথে আলোচনা করছি এবং তাদের সুসংগঠিত করতে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি৷''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম